প্রকাশঃ সোমবার ১৯জুন, ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথ এখন উত্তপ্ত। রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় নিয়মিত রাজপথনির্ভর কর্মসূচি দিচ্ছে। শুক্রবারও (১৬ জুন) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল।
ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা এসব কর্মসূচিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতারা তাদের বক্তব্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অনড় অবস্থান তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি রাজপথে সরকার সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি মাস ছয়েক। কিন্তু ভোটমুখী হাওয়া বইতে দেখা যাচ্ছে না রাজনৈতিক অঙ্গনে। উল্টো রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে স্থান পাচ্ছে শান্তি সমাবেশ, প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনার কথা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দৃশ্যত পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। তবে এসব কর্মসূচিতে রাজপথে সবর থাকা দলগুলোর আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচন।
আওয়ামী লীগের জোর সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে
সম্প্রতি নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে বিএনপির কর্মসূচির দিন বা তার আগে-পরের দিন পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের। চলতি মাসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি পালনের ঘটনা আরও বেড়েছে। দীর্ঘদিন পর সক্রিয় হয়েছে দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটও।
সুইজারল্যান্ড সফরে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেনেভার হিলটন হোটেলে দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন। সেখানে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ তাদের ভোট দেবে। ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে তারা যাকে ইচ্ছা ভোট দেবেন, আর জনগণের ভোট যারা পাবে, তারা সরকার গঠন করবে। এটি গণতান্ত্রিক ধারা এবং তা অব্যাহত থাকবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপি এটা ভালো করেই জানে যে তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য তারা জনগণের কোনও ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচনপ্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে। আসলে তারা (বিএনপি) চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।’
সবশেষ শুক্রবার (১৬ জুন) রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারও ভিসানীতি, কারও নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। আমরা কারও ওপর হস্তক্ষেপ করি না। আমাদের নির্বাচনে বাইরের কোনও দেশের হস্তক্ষেপ চাই না। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে, নিয়ম-কানুন মেনে নির্বাচনে যাচ্ছি আমরা। নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন।’
বিএনপির নিজেদের দলের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের কথায় তাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়ায়নি। যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন হবে, ইনশা আল্লাহ। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ফল তারা জানে। বিএনপির অনেক নেতা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে এখন বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি আসবে। অনেক দল আসবে। দলের অভাব হবে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন এ দেশে হবেই।’
একই সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলছেন, ‘আগামী নির্বাচনে যাতে তারা আসতে না পারে, সে জন্য আমরা নাকি মাঠছাড়া করার চেষ্টা করছি। যারা মাঠে থাকতে পারে না, যারা জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারে না, তাদের জোর করে মাঠে আনা যাবে না। তারা সব সময় শান্তির পথ ছেড়ে সন্ত্রাসের পথে হাঁটে। তারা গণতন্ত্রপ্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার স্বপ্ন দেখে না, দুঃস্বপ্ন দেখে।’
এদিন রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু তারা পালিয়ে যাওয়ার ছুতা তৈরি করতে চায়।’
সরকার বিএনপিকে মাঠছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে, মামলা-গ্রেফতার করছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য নাকচ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর নির্বাচন হয়, সেটিই আমরা চাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি সব সময় নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়। বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন করা নয়, নির্বাচন ভন্ডুল করা বা প্রশ্নবিদ্ধ করা।’
১৪-দলীয় জোটের জনসভা
এদিকে শুক্রবার সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ১৪-দলীয় জোটের জনসভার আয়োজন করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। ‘বিএনপির অপরাজনীতি, আগুনসন্ত্রাস ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’ স্লোগানে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। আরও যোগ দেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
সেখানে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বিদেশি প্রভুদের সাহায্যে বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট ও বানচাল করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বিএনপি অর্থ খরচ করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের সুনাম নষ্ট করছে।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ অনেক কষ্টে আছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে সব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে।’
এদিন মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের মৃত্যু ঘটবে। ক্ষমতায় আসতে হলে দেশের জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চান, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেন।’
বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পরশ বলেন, ‘নির্বাচনে না এসে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটালে রাজপথেই দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে। তারা শেখ
Service médical à domicile de Medici Generici à Rome
Notre équipe fournit un service de soins de santé à domicile, garantissant professionnalisme et confort pour les patients à Rome.দাবি আদায়ে অনড় বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো
ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানানো হলেও, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে অনড় অবস্থানের কথা জানাচ্ছে বিরোধী দলগুলো। শুক্রবার ঢাকায় মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে দুটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে সিরাজগঞ্জে সমাবেশে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রতিটি কর্মসূচিতেই বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার রাজপথ উত্তপ্ত করার পাঁয়তারা করছে।
সিরাজগঞ্জের সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসা, সন্ত্রাসে বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। প্রশাসনকে বলি, সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে কাজ করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিসানীতিতে এখন পরিষ্কার যে এই দেশে যারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের কথা পরিষ্কার, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। তারপর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এটা আমাদের জীবনমরণ ও বাংলাদেশের সম্মানের প্রশ্ন। আমরা প্রতিহিংসা, সহিংসতায় বিশ্বাস করি না।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় অংশ নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। এর আগে শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় মোশাররফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তার মানে এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি? আমরা ২৭ দফা দাবি দিয়েছি, ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। সব স্বাধীনতার এখন মূল লক্ষ্য এই সরকারের বিদায় এবং তাদের হটাতে গণ-অভ্যুত্থানের কোনও বিকল্প নেই।’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আজিমপুরে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রায় বলেন, ‘জনগণ তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে। অথচ সরকার কাউন্টার কর্মসূচির নামে সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। জনগণকে খেপাবেন না। জনগণ একবার উঠে দাঁড়ালে পালিয়েও পথ পাবেন না।’
গুলশানে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি সংঘাত নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী। আমার গণতন্ত্র ও আইনের শাসন চাই। সে জন্য প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যারাই গুম-খুন ও মিথ্যা-গায়েবি মামলায় জড়িত, তাদের বিচারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা হবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থাকে এই বিচারে সম্পৃক্ত করা হবে। যার ভিত্তিতে আগামী সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।’
বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, ‘দেশের মানুষ ভোটের অধিকার পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে। একটি দখলদার সরকারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি মানবাধিকার, গুম-খুনের বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। কোনও সরকার এসবের বিরুদ্ধে গেলে তারা কোনও দেশের বন্ধু হতে পারে না। তারা সেই দেশের মানুষের বন্ধু হতে পারে না।’
বিএনপির পাশাপাশি শুক্রবার নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে খেলাফত মজলিস। দলের মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ‘সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভয় পায়। এ জন্য আগের মতো প্রহসনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু জনগণ এ ধরনের তালবাহানার নির্বাচন আর দেখতে চায় না।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, চিন্তক-ইতিহাসবিদ বদরুদ্দীন ওমর। প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে তাড়াতে হবে। তাদের অধীনে নির্বাচন হবে না। বিএনপিও বলছে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না, সে কথা বিএনপি বলছে না।’