প্রকাশঃ সোমবার ১৯ জুন, ২০২৩
তার নাম আলমগীর সরদার। প্রথমে তিনি বিকাশ ও ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকান শুরু করেন। এর পাশাপাশি তিনি ফ্রি ফায়ার গেমে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। গেম খেলার সুবাদে অন্য খেলোয়ারের আইডি হ্যাক করতে অনলাইন থেকে হ্যাকিং শিখেন তিনি। পরে বিভিন্নজনের আইডি হ্যাক করে জড়িয়ে পড়েন অপরাধ জগতে। এভাবেই গেমার থেকে ভয়ঙ্কর হ্যাকার হয়ে উঠেন আলমগীর সরদার।
বৃহস্পতিবার খুলনার পাইকগাছা থানাধীন বৃত্তি গোপালপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার পর এসব তথ্য জানিয়েছে সিআইডির সাইবার অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনস বিভাগ।
এদিন সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার আসামির বরাত দিয়ে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ‘আপনার ছবি ব্যবহার করে কে বা কাহারা অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট করছে’- এমন লেখা ও ছবির মাধ্যমে ফিশিং লিংক তৈরি করতেন। পরে সেসব লিংক বিভিন্ন ব্যক্তির মেসেঞ্জারের ইনবক্সে পাঠাতেন। ভুক্তভোগীরা ওই লিংকে প্রবেশ করতেই তাদের ফেসবুক আইডি আলমগীরের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতো। পরে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তিনি টাকা দাবি করতেন।
আজাদ রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর পরিচিতজনদের কাছে কৌশলে অর্থ দাবি করতেন আলমগীর। হ্যাক করা ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার থেকে ফ্রেন্ডলিস্টে যুক্ত বিভিন্ন আইডির মেসেঞ্জারে ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ, টাকা দরকার। কয়েকটি নাম্বারে কিছু টাকা পাঠাও’সহ আরও বিভিন্ন ধরনের সাজানো মেসেজ পাঠিয়ে অর্থ চাইতেন। এছাড়াও ভুক্তভোগীদের কাছে হ্যাক করা ফেসবুক আইডি ফেরত দেওয়ার কথা বলে অর্থ দাবি করেন। এভাবে হ্যাকার আলমগীর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সিআিইডির ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০২১ সালের জুন থেকে আলমগীর ফ্ল্যাক্সিলোডসহ বিকাশ ও অন্যান্য এমএফএস’র ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ফ্রি ফায়ার গেমের প্রতি আসক্ত হন। একপর্যায়ে হ্যাকিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ বাড়তে থাকে। পরে অনলাইন থেকে হ্যাকিংসংক্রান্ত বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করেন তিনি। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।